এস এম তাজাম্মুল,মণিরামপুর প্রতিনিধি: হঠাৎ ছবিতে দেখলেই মনে হবে এটা ব্যাস্ততম ঢাকা শহরের কোন একটা এলাকার মোড়। সংকুচিত রাস্তা,যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং,মেইন রোডের ব্যাবসায়ীদের অতিরিক্ত জায়গা দখল,ফুটপাত এমনকি মেইন রোডের উপরেই ভ্রাম্মমান দোকানসহ নানাবিধ কারনে দিন গেলেই তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে যশোরে-সাতক্ষীরা মহাসড়কের ব্যাস্ততম বাজার মণিরামপুরে।
সরেজমিনে দেখাযায়,প্রতিদিনই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই বাজারের আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কাঁচামাল সহ নানান রকম ব্যাবসায়ীরা পন্য সামগ্রিই কেনাবেচা করে ফেরে এই বাজার থেকে।এ বাজারে রয়েছে স্থানীয় ভাবে কাপড় ব্যাবসায়ীদের অনেকগুলো মোকাম।সেখানেই কেনাবেচা করতে আসেন তারা।এদিকে এই বাজারের বুক চিরে চলমান আছে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়ক।ঢাকা থেকে আগত শতকরা ৮০% কোচ সার্ভিসের পরিবহন এই রোড দিয়েই যাতায়ত করে।
আবার দেখা গেছে লোকাল বাস সার্ভিসের স্টান্ড হিসাবে মণিরামপুর বাজারেই দক্ষিন মাথা,রাজগঞ্জ মোড়,পুরাতন বাসস্টান্ড,গরুহাট মোড় ও নির্ধারিত উত্তর মাথা বাসস্টান্ডসহ মোট ৫টি স্থানে অযথা বাস দাড়িয়ে থাকাও যানজটের আরেকটি বড় কারন।
অসহনীয় গরমে গণপরিবহনগুলোয় দেখা গেছে মারাত্মক অব্যবস্থাপনা। ধারণ ক্ষমতার থেকে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করছে বাসগুলো। পাশাপাশি সড়কের যানবাহনের নানা অব্যবস্থাপনায় প্রতিনিয়ত যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। একই সঙ্গে অসহনীয় গরম অসুস্থ করে দিচ্ছে সাধারণ জনগণকে।
উল্লেখ্য সম্প্রতি মণিরামপুর বাজার সহ উপজেলার মেইন রোডে প্রতিটি বাজারেই রাস্তার সংস্কার করে ঢালায় কাজ সম্পন্ন হয়েছে।অতি মজবুত এই ঢালায় রাস্তায় জনমনে উপকার আনলেউ নব্য এই রাস্তা কাল হয়ে দাড়িয়েছে মণিরামপুর বাজারের জন্য।মণিরামপুর বাজারের উপজেলা গেটের সামনে থেকে গরুহাট মোড় পর্যন্ত প্রায়ই লেগে থাকে এই যানযট।বিশেষ করে বাজারের প্রানকেন্দ্র রাজগঞ্জ মোড়ের সংকুচিত রাস্তার কারনে বেশিরভাগ সময়ে যানজট হয় বলে সাধারন জনগনের দাবী।
এই তীব্র যানজটের কবলে পড়তে দেখাযায় রোগীবহনকারী এ্যাম্বুলেন্স,অফিস-আদালতে যোগদানকারী লোক,দূর-দূরান্তে যাওয়া খেটে খাওয়া দিনমজুরসহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার লোক।
বেসরকারি দপ্তরে কেশবপুর থেকে যশোরে অফিস করতে যাওয়া বাসযাত্রী মোস্তফা কামাল জানান,প্রতিদিনই আমি বাড়ি থেকে যশোরে আমার অফিসিয়াল কাজে যায়।হাতে সময় নিয়ে বের হলেও এই মণিরামপুরের তীব্র যানজটের কারনে আমি সঠিক সময়ে অফিসে হাজির হতে পারিনা।যেখানে সময় লাগে ৫০ মিঃ থেকে ১ঘন্টা সেখানে যানজটে মণিরামপুরেই কেটে যায় ৩০/৪০মিঃ।
গতকাল(বুধবার) সকাল ১০:৩০মিঃ এর দিকে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে রোগী নিয়ে যশোরে যাওয়ার পথে মণিরামপুর বাজারেই তীব্র যানজটের স্বীকার হয়ে দাড়িয়ে আছে একটি এ্যাম্বুলেন্স।খবর নিয়ে জানাযায় গুরতর অসুস্থ্য রোগী ছিলো এ্যাম্বুলেন্সে।উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যশোর ২৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছিলো,নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছাতে না পারলে রোগীর জীবনের ঝুঁকি ছিলো।দাড়িয়ে থাকতে দেখে এগিয়ে গেলে এ্যাম্বুলেন্সের ভিতর থেকে রোগীর স্বজদের আর্তনাথ ভেসে আসে।তারা বলেন,এই জ্যামের কারনে যদি আমাদের রোগীর কিছু হয়ে যায় তার দায় নিবে কে?
এদিকে এত বড় বাজারে দীর্ঘদিন যাবত যানজট লেগে থাকলেও নেই কোন ট্রাফিক।যদিও সার্জেন্ট ও ট্রাফিক মাঝে মধ্য মণিরামপুর বাজারে আসলেও তারা শুধু মটরসাইকেল ধরে থানায় দেওয়া ছাড়া কোন কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়নি।তবে স্থানীয় ভাবে মণিরামপুর পৌরসভা থেকে প্রদত্ত গ্রাম পুলিশ দুলালকে দিয়ে দীর্ঘ ২০বছর যাবত চলছে ট্রাফিকের কাজ।
সাধারন জনগন ও ভুক্তভোগীরা বলছেন রাস্তা প্রসস্থকরন ও ট্রাফিক পুলিশ মোতায়নে করলেই এই তীব্র যানজট থেকে মুক্তি পেতে পারে মণিরামপুরবাসী।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।